আগামী সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যদি পর্যবেক্ষক দিতে চায় তাহলে নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে : ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি তারা (ইইউ) যদি পর্যবেক্ষক দিতে চায়, তাদের সুস্বাগত। যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন, একজন কূটনীতিক নিজের আওতার মধ্য থেকে কাজ করবেন। ইইউ নির্বাচন অবজার্ভ করবে, ক্লোজলি মনিটরিং করবে। সরকার সবসময়ই নির্বাচনি পর্যবেক্ষাদের স্বাগত জানায়।’
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পর্যবেক্ষকদেরও দায়িত্ব পালনে ৪১ ভিয়েনা কনভেনশনের নীতিমালা আছে। তারা সেই নীতিমালার মধ্যে দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে আমাদের কোনো আপত্তি থাকার প্রশ্ন নেই। বরং নির্বাচন নিয়ে বহু কথা হয়, যে কারণে পর্যবেক্ষকদের আমরা স্বাগত জানাই। তারা সরেজমিনে দেখতে পাবেন, নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে। এ নিয়ে বাধ্যবাধকতার কোনো সুযোগ থাকবে না।
নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সুপরিশ ছিল কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। তাদের ছয়জনের একটি দল এসেছে। তারা খুঁটিনাটি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করবেন। তারা আওযামী লীগের সঙ্গেও বসবেন আগামী ১৫ জুলাই।
বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, এটি চান তারা। কোনো উদ্বেগের কথা তারা বলেননি, ভালোটা আশা করেছে। খারাপ কিছু নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘না, এ কথা আমরা কেন বলব? তারা কাকে কী অনুরোধ করবেন, এটা তাদের ব্যাপার।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের মধ্যে মূলত নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। এতে চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিও ছিল। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তাদের সেই কথাই বলেছি। শেখ হাসিনা সরকার নিয়মিত কাজ করে যাবে। এ সরকার নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। সরকারি দল তখন কেবল রুটিন ওয়ার্ক করবে, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমনটি হয়।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথে আওয়ামী লীগও আছে, বিএনপি বিক্ষোভে আছে, আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে।
আরও দেখুনঃ