[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

পিরোজপুরের দুটি আসনের সীমানা পুননির্ধারণ বৈধ: আপিল বিভাগ

পিরোজপুরের দুটি আসনের সীমানা পুননির্ধারণ বৈধ, জাতীয় সংসদের পিরোজপুর ১ ও ২ আসনের সীমানা পূর্ননির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট বৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন।

পিরোজপুরের দুটি আসনের সীমানা পুননির্ধারণ বৈধ: আপিল বিভাগ

 

পিরোজপুরের দুটি আসনের সীমানা পুননির্ধারণ বৈধ: আপিল বিভাগ

 

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান,  এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আদালতে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদে সীমানা পূর্ননির্ধারণের আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। ওই ক্ষমতাবলেই সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী পিরোজপুর ১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ করেছে ইসি।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আর এই সীমানা পুনর্নিধারণ কোনো আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না বলেও সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। পিরোজপুর ১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল গত ৩ সেপ্টেম্বর খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

পিরোজপুর-১ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এ আসনের সীমানা পরিবর্তন করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যোগ করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল। অন্যদিকে নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গত ১ জুনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ,মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান,নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।

 

 

পিরোজপুরের দুটি আসনের সীমানা পুননির্ধারণ বৈধ: আপিল বিভাগ

 

ওই দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৩০ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। ইসি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার , ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৩ সেপ্টেম্বর  রায় ঘোষণা করা হয়। পরে রিটকারীরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

আরও দেখুনঃ