‘বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে’

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশঃ মৃত্যুশয্যায় বঙ্গবন্ধুর তর্জনী যে নতুন সূর্যোদয়ের ইশারা দিয়ে গিয়েছিল কাল থেকে কালান্তরে এসে তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্টিমারে করে সম্মুখ পানে সওয়ার করে চলেছেন। তিনি আগস্ট বেদনা এর মহাকাব্যের শোককে চিরধার্য একটি শক্তিতে রূপায়িত করেছেন বলেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে নিজের একটি অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

Table of Contents

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস স্মরণে সংগঠনটি এই আলোচনা সভাটি, দোয়া আর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
নানক বলেন, আজ গভীর দুর্যোগের অভিজ্ঞতা যখন নতুন করে বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রগুলোকে আরও বেশি দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমাদের সকলকে মনে করতে হবে। বাকশালকে বুঝতে হবে? বুঝতে হবে যে কেন বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয় বিপ্লবের এর জন্য ডাক দিয়েছিলেন? এবং তারা কেন ই-বা বঙ্গবন্ধুকে এবং তার নিজের সপরিবারকে হত্যার পরিকল্পনার জন্য এসেছিল আর কাদের মধ্যেই বা এরা এসেছিল?

পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ঘাতকচক্র একই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর পরিবারের ১৬ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীত দিকে প্রবাহিত ভাবে করার কাজ শুরু করে বলে এ কথা দাবি করেন তিনি।
তিনি ১৫ আগস্ট এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে একটি কারবালা প্রান্তরে ইমাম হোসেনসহ তার পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড আর পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধের পরাজয়ের পর বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর চক্রের হাতে নবাব সিরাজউদ্দৌলা এর পরিবারের সাথে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বক্তব্য:

এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সকল দুরভিসন্ধির এর সাথে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী এবং পাকিস্তানের চক্র এবং তাদের এদেশীয় দালালদের গোপন আঁতাতের কথা আজ দেশের মানুষের কাছে এটি সুষ্ঠভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে। আজ মানুষ বুঝতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু হত্যার উদ্দেশ্যে ছিল বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বাংলাদেশের নাম চিরতরে মুছে ফেলবে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। কিন্তু তাদের এই বিশ্বাসঘাতকতা-উচ্চাবিলাসী ধ্যান-ধারণা বাস্তব রূপ লাভ করেনি। সূর্য অস্তমিত হলে তারপর জোনাকিরা জ্বলে। কিন্তু জোনাকিরা কখনোই সূর্যের বিকল্প হতে পারে না। তাই যতই দিন যাচ্ছে এ সত্য স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে বলে তিনি মনে করে থাকেন সাবেক এই স্থানীয় সরকারী প্রতিমন্ত্রী।
সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নানক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বদলা নিতে হলে তার স্বপ্নকে আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। নতুন প্রত্যয়ে বলীয়ান হয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে পারলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে। বাংলার মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যা এর রায় পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চেয়েছিল। আর তাই হবে তার প্রতি জাতির মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট এটি একটি সম্মান প্রদর্শন।

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে
Bangladesh

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতার চেয়ারম্যান রকিবুর রহমান ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানটি এর সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগে এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সাংগঠনিটির সম্পাদক মির্জা আজম, আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু তিনি হলেন সংগঠনের মহাসচিব কেএম শহিদ উল্যা প্রমুখ।

সভায় মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ১৫ আগস্ট এ হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু এর আত্মস্বীকৃত খুনিদের প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। জিয়াউর রহমান দেশের জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছেন। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর বিপক্ষ শক্তি। জিয়াউর রহমান কখনো তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল না। সব সময় পাকিস্তান এর এজেন্ট হয়ে কাজ করেছিলেন।

নানক এর বক্তব্য:

শেখ রাসেল এর একটি প্রসঙ্গ তুলে ধরে নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এমন একটি সময়ে বাংলার মাটিতে এসেছিলেন যখন বাংলার আকাশ পরাধীনতার বিষবাষ্পে অনাবৃত অন্ধকারে এর মধ্যে নিমজ্জিত ছিল। এমনি একটি রাতে বাংলার আকাশে আলোর পাখি এবং অন্ধকারের প্রবলভাবে প্রতিপক্ষ হয়ে এসেছিলেন শেখ রাসেল।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগস্টের আগে তার প্রিয় হাসু আপার (শেখ হাসিনা) সাথে জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জন্ডিসে আক্রান্ত হবার কারণে তিনি তার হাসু আপার সাথে যেতে পারেননি। সেদিন যদি তিনি জার্মানি যেতে পারতেন তাহলে হয়তো বাংলার অদম্য আলোর পাখিকে ঘাতকের বুলেটে ভূপাতিত করতে পারত না। শেখ রাসেল ছিলেন অপ্রতিরোধ্য বাংলার অমৃত সূর্যোদয়ের প্রবল সম্ভাবনার প্রতীক।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমান ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরুসহ সংগঠনের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা।

বাংলাদেশ এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে:

উইকিপিডিয়া: বাংলাদেশ   

আমাদের অন্যান্য আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে আরো দেখুন:

আমাদের সাথে যোগাযোগ  

 

 

মন্তব্য করা বন্ধ রয়েছে।