সরকার আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায় : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায় এবং বিশ্বাস করে দেশবাসী চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চাইলে আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।

সরকার আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায় : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করুক সেটাই আমরা চাই। আর যদি কেউ না করে সেটা যার যার দলের সিদ্ধান্ত সেজন্য আমাদের সংবিধান তো আমরা বন্ধ করে রাখতে পারি না। সংবিধানের ধারা অনুযায়ী দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।’

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ভারত সফর করেন।

সরকার আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায় : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ ভাবে করবে না একক ভাবে করবে তা সময়ই বলে দেবে।
তিনি বলেন, আমরা ১৪ দল করে জোটবদ্ধ ভাবে নির্বাচন করেছি। জাতীয় পার্টি আলাদা নির্বাচন করেছে, তবে, আমাদের সঙ্গে সমঝোতায় ছিল।

কিন্তু, ভবিষ্যত নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে তাতো সময়ই বলে দেবে। আর আওয়ামী লীগ উদার ভাবে কাজ করে, এর দরজা খোলা।তিনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এত কাজ করার পর জনগণ নিশ্চই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে, সেটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি।

যদি এই চলমান উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখতে চান, না চাইলে তো কিছু করার নেই। সেটা জনগণের ইচ্ছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে যারা সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল তারা আমাদের সাথে থাকবে এতে কোন আপত্তি নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যে কোন নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনোনয়নে পরিবর্তনটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ক্ষেত্রমতে আমরা যাচাই করে দেখবো কার জেতার সম্ভাবনা আছে কার নেই তাছাড়া এখনও নির্বাচনের এক বছরেরও বেশি সময় বাকী আছে। সময় যত যাবে ততই বিষয়টা পরিস্কার হবে। আমাদের সঙ্গে কে থাকবে, কে থাকবে না বা নতুন জোট হবে কি হবে না, আর নতুন জোট হলে হোক, অসুবিধা নাইতো, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায় : প্রধানমন্ত্রী

টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় অনেকেই ভূলে গেছেন ’৭৫ এর পর দেশে বারবার ক্যু হচ্ছিল। কে কখন কি হয়ে যায় তার ঠিক ছিল না, এই ছিল বাংলাদেশের অবস্থা।

প্রধানমন্ত্রী ‘টক শো’ আয়োজকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে আপনারা এত কথা বলেন, টক শো করেন, কিন্তু, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে কে এত কথা বলেছে বলেন তো? কেউ সে সুযোগও পায়নি। কারণ, কথা বলার কোন অধিকার ছিল না।

তিনি বিদ্রুপাচ্ছলে বলেন, ‘কোথায় টক শো আর কোথায় মিষ্টি কথা, সে তেতুলের টকই হোক আর রসগোল্লার স্বাদ, কোনটাইতো কেউ পায়নি’ তবে, এখন শুনি, সব কথা বলার পরে বলে, কথা বলার কোন অধিকার নাই।’

তিনি বিএনপি’র আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন রাস্তায় আন্দোলন কিন্তু জনগণ সাড়া না দিলে সেটাতো আর আমাদের দায়িত্ব না। কিন্তু, আওয়ামী লীগ যে বিএনপি’র হাতে নির্যাতিত সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। আওয়ামী লীগের ওপর সবাইতো চড়াও হয়েছে। সেই জিয়াউর রহমান শুরু করলো তার পর একের পর এক। লাশ টানতে টানতে আর আহতদের চিকিৎসা করাতে নাভিশ^াস উঠেছিল আমাদের।

সরকার আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায় : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে কিন্তু সেই পরিবেশ নাই। এমনকি আমার পার্টির যদি কেউ অন্যায় করে, আমরা কিন্তু ছেড়ে দেই না, যে আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে, কিছু করবো না, তা নয়। যে অন্যায় করবে তার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব এবং নিচ্ছি।

‘আমি চাই, দেশের গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকুক এবং দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আসুক,’ সেটাই তিনি চান বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করা বন্ধ রয়েছে।