করোনা ভাইরাসে মারা গেল আরো ৬ হাজার মানুষ এবং ইথিপিয়াতে জরুরি অবস্থা জারি!

সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে মারা গেলে আরো ৬ হাজার মানুষ এবং ইথিপিয়াতে জরুরি অবস্থা জারি!

মহামারি  আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও সাড়ে ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫০ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া নতুন আক্রান্তদের নিয়ে মোট আক্রান্ত পেরিয়েছে ২৪ কোটি ৮২ লাখে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসে এমনটাই জানানো হয়েছে।

করোনা ভাইরাসে মারা গেলে আরো ৬ হাজার মানুষ

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৪৭৩ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫০ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৩ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪১৮ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮৭ জনে।

করোনাভাইরাস copyright free image form pixabay.com
চিত্র: করোনাভাইরাস

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৭৭৬ জন এবং মারা গেছেন ৯২৪ জন। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯২ জন মারা গেছেন।

একই সময়ে বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ১৭৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৭১ জনের।

যুক্তরাজ্যে গত একদিনে সংক্রমণ কমলেও প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইউরোপের এই দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৬৫ জন এবং মারা গেছেন ২৯২ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৮৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৬৪ জন মারা গেছেন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৭ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৩১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৮ লাখ ২১ হাজার ১২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮ হাজার ৭১ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইরানে ১৬০ জন, তুরস্কে ২২৪ জন, ইউক্রেনে ৭০০ জন এবং ফিলিপাইনে ১২৮ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৯৯ জন।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯৪ জন এবং নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৬ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৬ হাজার ১৭৭ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২০৩ জন।

আরো জানুন:

গুরুকুল লাইভ: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাগালে রাখার পরও বাংলাদেশের হার 

 

ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি

 

গোটা ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্স (টিপিএলএফ) দেশটির আদ্দিস আবাবার দিকে আসতে পারে জেনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

ইথিপিয়াতে জরুরি অবস্থা জারি Image source: Ethiopia declares state of emergency
ইথিপিয়াতে জরুরি অবস্থা জারি!

টিপিএলএফ দুইটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করেছে। তারপর তারা জানিয়েছে, তারা রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে আসতে পারে। এরপরই পুরো ইথিওপিয়া জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

আদ্দিস আবাবার কর্তৃপক্ষ শহরবাসীকে অনুরোধ করেছেন, প্রয়োজনে তাদের শহর বাঁচানোর জন্য নামতে হবে। দিনকয়েক আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছিলেন, নাগরিকরা যেন হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করেন।

 

সংবাদসংস্থা ফানা জানিয়েছে, সরকার বলেছে, নাগরিকদের টিপিএলএফ জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এর ফলে সরকার যে কোনো রাস্তা বন্ধ করে দিতে পারবে, পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, কার্ফিউ জারি করতে পারবে, যে কোনো জায়গা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে পারবে, ওয়ারেন্ট ছাড়া যে কোনো মানুষকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।

ইথিওপিয়ায় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশ এক গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের সামনে বিপদ দেখা দিয়েছে। তাই এই চরম ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। জরুরি অবস্থার নিয়ম ভাঙলে তিন থেকে দশ বছর জেল হতে পারে।

টিপিএলএফের দাবি, তারা রাজধানীর চারশ কিলোমিটার দূরের দুইটি শহর দখল করে নিয়েছে এবং রাজধানী অভিযানের কথা ভাবছে। সরকারের দাবি, সেনা এখনো ওই দুই শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে। এই অবস্থায় আদ্দিস আবাবায় সাধারণ মানুষকে বলা হয়েছে, তাদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকলে, তারা যেন তা নথিভুক্ত করান এবং শহরকে রক্ষার জন্য তৈরি থাকেন।

করোনাভাইরাস সম্পর্কে আরো জানতে :

ইউনিসেফ :  করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯)

আমাদের সাথে যোগাযোগ

মন্তব্য করা বন্ধ রয়েছে।